আমাদের সম্পর্কে
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ বিভাগের ১১ নভেম্বর ২০০৮ তারিখে জারীকৃত গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সরকার পেট্রোবাংলার আওতাধীন কোম্পানীগুলোকে সমন্বয় ও সুষমকরণপূর্বক গ্যাস শিল্পের বিকাশ এবং এ শিল্পের আওতাধীন বিভিন্ন গ্রাহকের সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেমস লিমিটেড-কে পুনর্বিন্যাস করে “কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড” (কেজিডিসিএল) গঠন করা হয়। তদানুযায়ী কোম্পানী আইন-১৯৯৪ এর আওতায় ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে চট্টগ্রামস্থ রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট ষ্টক কোম্পানীজ এন্ড ফার্মস-এ নিবন্ধণের মাধ্যমে পেট্রোবাংলার অধীনে “কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড” (কেজিডিসিএল) নামে অত্র কোম্পানী আত্মপ্রকাশ করে। জুলাই ২০১০ হতে কেজিডিসিএল এর রাজস্ব আদায় কার্যক্রম শুরু হয় এবং ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এম.পি. কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড-এর কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুভ উদ্বোধন করেন।
প্রাকৃতিক গ্যাসের কার্যকর সরবরাহ ও ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সাহায্য করার লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, জাপান ইন্টারন্যশনাল কো-অপারেশন এজেন্সী (জাইকা) যৌথ অর্থায়নে “Natural Gas Efficiency Project [Installation of prepaid gas meters for KGDCL]” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৬০,০০০ প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করা হয়েছে। প্রি-পেইড গ্যাস বিল সংগ্রহ এবং কার্ড রিচার্জের জন্য বর্তমানে মোট ১৬টি কার্ড রিচার্জ সিস্টেম (Point of Sale or POS) স্থাপন করা হয়েছে। “কেজিডিসিএল এর আবাসিক গ্রাহকদের জন্য প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন” প্রকল্পের আওতায় আরো ১,০০,০০০ প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে, যা জুন ২০২২ এর মধ্যে সম্পাদন করা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সচরাচর জিজ্ঞাসা
-
১. প্রিপেইড মিটার গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন ধরণের ফি নির্ধারিত আছে কি না?
উঃ প্রিপেইড মিটার গ্রহণের ক্ষেত্রে গ্রাহককে কোন ধরণের ফি প্রদান করতে হয় না।
-
২. গ্রাহককে প্রিপেইড মিটার পৃথকভাবে ক্রয়ের মাধ্যমে স্থাপন করতে হয় কি না?
উঃ বর্তমান প্রকল্পের আওতায় মিটার স্থাপনের জন্য গ্রাহককে পৃথকভাবে কোন প্রিপেইড মিটার ক্রয় করতে হবে না৷ কেজিডিসিএল প্রকল্পের আওতায় ক্রয়কৃত মিটার গ্রাহক আঙিনায় স্থাপন করা হবে।
-
৩. প্রিপেইড মিটার গ্রহণের জন্য আবেদন কোথায়/কিভাবে করতে হবে?
উঃ গ্রাহক যে কোন স্থান হতে............................ লিংকে প্রবেশ করে নির্ধারিত ফরম্যাটে প্রিপেইড মিটার গ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
-
৪. মিটার স্থাপনের জন্য কেবলমাত্র আবেদন ছাড়া অন্য কোনরূপ করণীয় আছে কি না?
উঃ যে সকল গ্রাহকের প্রতিটি সরঞ্জামের জন্য রাইজারের ঠিক পর হতে রান্নাঘর পর্যন্ত পৃথক পৃথক জি আই লাইন ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় বিদ্যমান রয়েছে সে সকল গ্রাহকের জন্য আবেদন প্রদান যথেষ্ট হবে৷ যে সকল গ্রাহকের প্রতিটি সরঞ্জামের জন্য পৃথক পৃথক জি আই লাইন রান্নাঘর পর্যন্ত বিদ্যমান নেই, সে সকল গ্রাহককে যথাযথ প্রক্রিয়ায় কেজিডিসিএল অনুমোদিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য হতে যেকোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিটি সরঞ্জামের জন্য রাইজারের ঠিক পর হতে পৃথক পৃথক জি আই লাইন নিজ ব্যবস্থায় নির্মাণ করতে হবে৷ এছাড়া, মিটার স্থাপনের সময়ে বা পরবর্তীতে গ্রাহকের অভ্যন্তরীণ জি আই লাইনে কোন লিকেজ পরিলক্ষিত হলে গ্রাহক যথাযথ প্রক্রিয়ায় কেজিডিসিএল অনুমোদিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য হতে যেকোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিজ ব্যবস্থায় লিকেজ মেরামত করবেন।
-
৫. কেজিডিসিএল অনুমোদিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানসমূহের তালিকা পাওয়ার উপায় কি?
উঃ কেজিডিসিএল এর ওয়েবসাইট www.kgdcl.gov.bd হতে অনুমোদিত ১.১ ও ১.২ ক্যাটাগরির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানসমূহের তালিকা ও তথ্যাদি সংগ্রহ করা যাবে।
-
৬. প্রিপেইড মিটারে হঠাৎ ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেলে এবং তাৎক্ষনিকভাবে গ্যাস রিচার্জের সুযোগ না থাকলে করণীয় কী?
উঃ প্রিপেইড মিটারের ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেলে গ্রাহকবৃন্দ রিচার্জ ব্যতিরেকে মিটার হতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ইমার্জেন্সী ব্যালেন্স গ্রহণের সুযোগ পাবেন যা পরবর্তী রিচার্জের সাথে সমন্বয় করা হবে।
-
৭. প্রিপেইড মিটারের মাধ্যমে অনুমোদনের অতিরিক্ত সরঞ্জামে গ্যাস ব্যবহার বৈধ কি না?
উঃ প্রিপেইড মিটারের মাধ্যমে অনুমোদনের অতিরিক্ত কোন সরঞ্জামে গ্যাস ব্যবহার করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ৷ গ্রাহক কর্তৃক এরূপ কোন কার্যক্রম সম্পাদিত হলে তার বিরুদ্ধে কোম্পানীর প্রচলিত নিয়ম/আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷
-
৮. প্রিপেইড মিটার স্থাপনের পূর্ববর্তী কোন বকেয়া থাকলে সে ব্যাপারে করণীয় কী?
উঃ প্রিপেইড মিটার স্থাপনের আবেদনের ক্ষেত্রে পূর্বের কোন বকেয়া বিল থাকলে তা পরিশোধ করতে হবে। পোস্ট-পেইড/ফ্লাটরেট ব্যবস্থায় সর্বশেষ পরিশোধিত বিল হতে প্রিমিটার চালু করার ঠিক পূর্ববর্তী সময়ের ভগ্নাংশ বিল গ্রাহকগণকে নিজ ব্যবস্থায় কেজিডিসিএল এর সংশ্লিষ্ট রাজস্ব ডিপার্টমেন্ট হতে সংগ্রহ করত পরিশোধ করতে হবে। পোস্ট-পেইড/ফ্লাটরেট ব্যবস্থায় পরিশোধযোগ্য বিল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধে ব্যর্থ হলে কোম্পানীর প্রচলিত নিয়ম/আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷
যোগাযোগ করুন
ঠিকানা
১৩৭/এ, সিডিএ এভিনিউ, ষোলশহর, কেজিডিসিএল.বাংলা, চট্টগ্রাম,ফ্যাক্সঃ ০৩১ ৬৫৬২৩৯ ওয়েবঃ www.kgdcl.gov.bd
ইমেইল
info@kgdcl.gov.bd
ফোনঃ
+৮৮০২৩৩৪৪৫২৭৯৬